মানসিক চাপ

পুরুষদের মানসিক চাপ হওয়ার কারণ কি?
পুরুষদের মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হওয়ার পেছনে বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও পরিবেশগত কারণ কাজ করে। কিছু প্রধান কারণ নিম্নরূপ :
১. পেশাগত চাপ
- কাজের অতিরিক্ত চাপ : লক্ষ্য পূরণ, ডেডলাইন, কাজের নিরাপত্তাহীনতা।
- অফিস পলিটিক্স বা দুর্বল কাজের পরিবেশ।
- আর্থিক চিন্তা : বেতন কম, ঋণের বোঝা, বা চাকরির অনিশ্চয়তা।
২. পারিবারিক ও সম্পর্কগত সমস্যা
- দাম্পত্য কলহ বা বিচ্ছেদ।
- সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের দেখাশোনার চাপ।
- প্রিয়জনকে হারানো (বিয়োগান্তক ঘটনা)।
৩. আর্থিক সমস্যা
- ঋণ, বেকারত্ব বা আয়ের অনিশ্চয়তা।
- সমাজের চোখে সফল হওয়ার চাপ।
৪. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চাপ
- দীর্ঘমেয়াদি রোগ (ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার ইত্যাদি)।
- শারীরিক দুর্বলতা বা হরমোনাল ইমব্যালান্স (যেমন লো টেস্টোস্টেরন)।
৫. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চাপ
- পুরুষত্বের সংজ্ঞা নিয়ে চাপ : “পুরুষরা কাঁদে না”, “সব সমস্যা নিজে সামলাতে হবে” – এমন ধারণা মানসিক চাপ বাড়ায়।
- সমাজ বা পরিবারের থেকে অতিরিক্ত প্রত্যাশা।
৬. ব্যক্তিগত কারণ
- অতীতের ট্রমা বা অপূর্ণতা (যেমন ব্যর্থতা, প্রত্যাখ্যান)।
- অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা বা নিজের প্রতি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।
- একাকিত্ব বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা।
৭. জীবনযাত্রার অভ্যাস
- অপর্যাপ্ত ঘুম।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহল, ধূমপান)।
- শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব।
৮. বয়সজনিত পরিবর্তন
- মিডল এইজ ক্রাইসিস (জীবনের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিধা)।
- বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক ও মানসিক শক্তি হ্রাস।
প্রতিকার :
- মানসিক চাপ ম্যানেজমেন্ট : মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং, ইয়োগা।
- শারীরিক কার্যকলাপ : নিয়মিত ব্যায়াম এন্ডোরফিন হরমোন বাড়ায়, যা স্ট্রেস কমায়।
- সামাজিক সহযোগিতা : বন্ধু, পরিবার বা কাউন্সেলরের সাথে কথা বলা।
- সময় ব্যবস্থাপনা : কাজ ও জীবনযাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা।
- পেশাদার সাহায্য : থেরাপি বা কাউন্সেলিং নেওয়া (যদি চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়)।
সতর্কতা : দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, হার্টের রোগ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই উপসর্গ গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন
Contact
Phone
+8801909-786565
drfyety@gmail.com
Address
Sadar, Jashore
Copyright © 2025 Dr. Farzana Yeasmin Ety | Powered by Dr. Farzana Yeasmin Ety