চুলকানি

চুলকানি কেন হয়?
চুলকানি (Itching) হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
১. চুলকানি হওয়ার প্রধান কারণ :
- চুলকানি ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন শারীরিক বা পরিবেশগত কারণে হতে পারে :
ক) ত্বকের শুষ্কতা (Dry Skin) :
- শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেলে বা অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি হয়।
খ) অ্যালার্জি বা ত্বকের রোগ :
- একজিমা (Eczema), সোরিয়াসিস, আর্টিকেরিয়া (Hives) – লাল দাগ ও চুলকানি সৃষ্টি করে।
- কসমেটিকস, সাবান, ডিটারজেন্ট বা নির্দিষ্ট খাবারে (চিংড়ি, বেগুন, ডিম) অ্যালার্জি।
গ) সংক্রমণ (Infections) :
- ফাঙ্গাল ইনফেকশন (দাদ, খোসপাঁচড়া)।
স্ক্যাবিস (Scabies) – পরজীবী দ্বারা সংক্রমণ, রাতে বেশি চুলকায়।
ঘ) পোকামাকড়ের কামড় :
- মশা, বিছা, উকুনের কামড়ে ত্বকে চুলকানি ও ফোলাভাব।
ঙ) অভ্যন্তরীণ রোগ :
- লিভার বা কিডনি সমস্যা (Bile জমে ত্বকে চুলকানি)।
- ডায়াবেটিস – ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়।
চ) মানসিক চাপ বা Anxiety :
- স্ট্রেসের কারণে সাইকোজেনিক ইচিং হতে পারে।
২. চুলকানির প্রতিকার ও চিকিৎসা :
ক) সাধারণ যত্ন (Home Remedies) :
ত্বক আর্দ্র রাখুন :
- ময়েশ্চারাইজার (ভ্যাসলিন, অ্যালোভেরা জেল) দিনে ২ বার ব্যবহার করুন।
- গোসলের পর ত্বক ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগান।
ঠাণ্ডা সেঁক :
- বরফ বা ঠাণ্ডা পানির কাপড় চুলকানো স্থানে রাখুন (প্রদাহ কমবে)।
প্রাকৃতিক উপায় :
- বেকিং সোডা পেস্ট (পানি মিশিয়ে লাগালে চুলকানি কমে)।
- নিম পাতা বা কলার ঘষা (অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি)।
প্রতিরোধ :
- পরিচ্ছন্নতা : নিয়মিত গোসল, সুতি কাপড় পরুন।
- রাসায়নিক এড়িয়ে চলুন : সুগন্ধিমুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন।
- পোকামাকড় থেকে সতর্ক থাকুন : মশারি ব্যবহার করুন।
৩. কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- চুলকানি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে।
- ত্বকে পুঁজ, ফোসকা বা রক্তক্ষরণ হলে।
- জ্বর বা ওজন কমে গেলে (লিভার/কিডনি রোগের লক্ষণ)।
মনে রাখুন : চুলকানির কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। ঘরোয়া উপায়ে না কমলে রোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
আরও পড়ুন
Contact
Phone
+8801909-786565
drfyety@gmail.com
Address
Sadar, Jashore
Copyright © 2025 Dr. Farzana Yeasmin Ety | Powered by Dr. Farzana Yeasmin Ety