জরায়ুতে সিস্ট ও টিউমার

জরায়ু সিস্ট ও টিউমার সমস্যা কি?
১. জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Cyst)
সিস্ট হলো তরল, বায়ু বা অর্ধ-ঠোঁট পদার্থে পূর্ণ থলের মতো গঠন, যা সাধারণত নিরীহ (বিনাইন) ।
প্রকারভেদ ও কারণ:
ক) ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Ovarian Cysts):
- ফাংশনাল সিস্ট (সাধারণ, ঋতুস্রাবের সাথে সম্পর্কিত):
- ফলিকুলার সিস্ট: ডিম্বাশয়ে ডিম পরিপক্ব না হলে তৈরি হয়।
- করপাস লুটিয়াম সিস্ট: ডিম্বস্ফোটনের পর তৈরি হয়, গর্ভাবস্থায় সহায়ক।
- প্যাথলজিক্যাল সিস্ট (অস্বাভাবিক, চিকিৎসা প্রয়োজন):
- ডারময়েড সিস্ট (চুল, চর্বি, দাঁত থাকতে পারে)।
- এন্ডোমেট্রিওমা (এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে রক্তপূর্ণ সিস্ট)।
- পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)।
খ) জরায়ুর সিস্ট (Uterine Cysts):
নাবোথিয়ান সিস্ট: জরায়ুমুখে (সারভিক্স) তৈরি হয়, সাধারণত ক্ষতিকর নয়।
লক্ষণ:
- তলপেটে ব্যথা বা ভারীভাব।
- পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা।
- প্রস্রাব বা পায়খানার সময় চাপ লাগা।
- পেট ফুলে যাওয়া (বড় সিস্ট হলে)।
চিকিৎসা:
- ফাংশনাল সিস্ট: সাধারণত ২-৩ মাসে নিজে থেকে সেরে যায়।
- অপসারণ: বড় বা লক্ষণযুক্ত সিস্ট ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে অপারেশন করে বাদ দেওয়া হয়।
২. জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের টিউমার (Tumor)
টিউমার হলো কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, যা বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) বা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) হতে পারে।
প্রকারভেদ:
ক) বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) টিউমার:
ফাইব্রয়েড (ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড): জরায়ুর পেশীতে তৈরি হয়, প্রজনন বয়সের মহিলাদের মধ্যে ।
লক্ষণ:
- ভারী রক্তপাত, পেটে ব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা।
- সিস্টাডেনোমা (ডিম্বাশয়ের বিনাইন টিউমার)।
- ব্রেনার টিউমার (ডিম্বাশয়ে, সাধারণত নিরীহ)।
খ) ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) টিউমার:
- ওভারিয়ান ক্যান্সার (ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার)।
- ইউটেরাইন ক্যান্সার (জরায়ুর ক্যান্সার)।
- সারভাইকাল ক্যান্সার (জরায়ুমুখের ক্যান্সার)।
লক্ষণ:
- অনিয়মিত রক্তস্রাব বা মেনোপজের পর রক্তপাত।
- তলপেটে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।
- ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা।
- প্রস্রাব বা পায়খানার অভ্যাসে পরিবর্তন।
চিকিৎসা:
- ফাইব্রয়েড: ওষুধ, হরমোন থেরাপি বা সার্জারি (মায়োমেক্টমি/হিস্টেরেক্টমি)।
- ক্যান্সার: কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন বা অপারেশন।
সিস্ট vs টিউমার : পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য—-সিস্ট (Cyst)—-টিউমার (Tumor)
গঠন—-তরল/গ্যাস পূর্ণ থলে—-কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
প্রকৃতি—-সাধারণত নিরীহ—-বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট
চিকিৎসা—-প্রায়ই নিজে সেরে যায়—-ওষুধ/অপারেশন প্রয়োজন
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- তলপেটে তীব্র ব্যথা বা ফুলে যাওয়া।
- অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্তস্রাব।
- ওজন কমা বা দীর্ঘদিনের ক্লান্তি।
আরও পড়ুন
Contact
Phone
+8801909-786565
drfyety@gmail.com
Address
Sadar, Jashore
Copyright © 2025 Dr. Farzana Yeasmin Ety | Powered by Dr. Farzana Yeasmin Ety