কিডনি পাথর

কিডনি পাথর কেন হয়?
কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
কেন কিডনিতে পাথর হয়?
কিডনি পাথর হলো মূত্রনালীতে জমা হওয়া শক্ত খনিজ ও লবণের কেলাস (Crystals)। প্রধান কারণগুলো হলো :
১. পানির অভাব (ডিহাইড্রেশন) :
- অপর্যাপ্ত পানি পান করলে মূত্র গাঢ় হয়, ফলে খনিজগুলো জমে পাথর তৈরি করে।
২. খাদ্যাভ্যাস :
- অতিরিক্ত লবণ (সোডিয়াম), প্রাণীজ প্রোটিন (মাংস, ডিম), অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার (পালং শাক, বাদাম, চকলেট) খেলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর অত্যধিক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ।
৩. মেডিকেল কন্ডিশন :
- ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে (গাউট রোগে)।
- বারবার মূত্রনালীর ইনফেকশন (ইউটিআই)।
- মেটাবলিক ডিসঅর্ডার (হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম)।
৪. জিনগত বা পরিবেশগত কারণ :
- পরিবারে কিডনি স্টোনের ইতিহাস থাকলে।
- গরম আবহাওয়া যেখানে ঘামের মাধ্যমে পানি ক্ষয় বেশি হয়।
কিডনি পাথরের লক্ষণ :
- তীব্র পেট বা কোমরের ব্যথা (যা নিচের দিকে নামে)।
- প্রস্রাবে রক্ত (হেমাটুরিয়া)।
- বমি বমি ভাব বা বমি।
- প্রস্রাব করতে জ্বালাপোড়া বা বারবার প্রস্রাবের বেগ।
প্রতিকার ও চিকিৎসা :
১. ঘরোয়া ব্যবস্থা :
- অতিরিক্ত পানি পান করুন : দিনে ৩-৪ লিটার (প্রস্রাব পরিষ্কার রাখুন)।
- লেবুর রস + জল : সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর গলাতে সাহায্য করে।
- আদা-জিরা পানি : প্রদাহ কমায়।
২. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ :
- লবণ কম খান (প্রতিদিন ২৩০০ mg-এর নিচে)।
- অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার সীমিত করুন (পালং শাক, টমেটো, চা)।
- ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার (দুধ, দই) খান, কিন্তু সাপ্লিমেন্ট ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নেবেন না।
৩. প্রতিরোধ :
- নিয়মিত প্রস্রাব করুন (অবশ্যই চেপে রাখবেন না)।
- ভিটামিন সি অতিরিক্ত নেবেন না (প্রতিদিন ১০০০ mg-এর বেশি নয়)।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- ব্যথা অসহ্য হলে বা ২৪ ঘন্টার বেশি থাকলে।
- জ্বর বা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে (ইমার্জেন্সি অবস্থা)।
মনে রাখুন : পাথরের ধরন (ক্যালসিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি) জানতে ২৪-ঘন্টার ইউরিন টেস্ট করা জরুরি। সঠিক ডায়েট ও জীবনযাত্রায় ৮০% ক্ষেত্রে পুনরায় পাথর হওয়া রোধ করা যায়!
আরও পড়ুন
Contact
Phone
+8801909-786565
drfyety@gmail.com
Address
Sadar, Jashore
Copyright © 2025 Dr. Farzana Yeasmin Ety | Powered by Dr. Farzana Yeasmin Ety